বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় রেলের। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ঘটনার জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। এবার দূরপাল্লার ট্রেনে বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় টাকার বিনিময়ে যাত্রী তোলার অভিযোগ উঠল রেল পুলিশের (জিআরপি) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। রেল জানিয়েছ, শুক্রবার রাতে হাটেবাজারে এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ এবং আরপিএফের অভিযানে রেল পুলিশের ওই কর্মী হাতেনাতে ধরা পড়েন। রেলের দাবি, ওই কর্মী উত্তরবঙ্গে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে শিয়ালদহের জিআরপিকে আইনি পদক্ষেপ করতে বললেও তারা অসহযোগিতা করছে। রেল সূত্রের খবর, ওই কর্মীকে আটক করার পরে জিআরপির নানা আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। দেরি হয় ট্রেন ছাড়তেও।
জানা গিয়েছে, কিছু ট্রেনে টাকা নিয়ে যাত্রীদের বিভিন্ন কামরায় ওঠানোর অভিযোগ এসেছিল। তার ভিত্তিতেই রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ এবং আরপিএফের কর্মীরা শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঁৎ পেতে ছিলেন। অভিযোগ, এক যাত্রী হাটে বাজারে এক্সপ্রেসের একেবারে পিছনের কামরায় ট্রেন পাহারার দায়িত্বে থাকা জিআরপির কর্মীকে আসনের কথা বলেন। ওই পুলিশকর্মী তাঁকে ইঞ্জিনের পরের কামরায় তাঁর অন্য সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এর পর ওই যাত্রী সামনের দিকে বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরার কাছে গিয়ে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা চান। টাকা লেনদেনের সময় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় বলে রেল সূত্রের দাবি। অভিযোগ, ধরা পড়ার পর উক্ত পুলিশকর্মী বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলেন। রেলের রিপোর্ট লেখার সময় বয়ান দিতেও অস্বীকার করেন তিনি।