বড়সড় বিতর্কে জড়ালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী। যার জেরে আরও একবার বিপাকে শাসকদল বিজেপি। অতিসম্প্রতি প্রকাশিত, নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে সওয়ালকারী অসরকারি সংগঠন এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২, এই পাঁচ বছরে নির্বাচনী বন্ড বাবদ প্রায় ৫,২৭২ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে পদ্মশিবির। বাকি সমস্ত দল মিলে পেয়েছে ১,৭৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাকি সব দল নির্বাচনী বন্ড থেকে যত টাকা পেয়েছে, বিজেপি পেয়েছে তার তিন গুণ। বিজেপি এই পাঁচ বছরে মোট যে পরিমাণ রাজনৈতিক অনুদান পেয়েছে, তার ৫২ শতাংশই এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে দেশজুড়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
পদ্মশিবিরের এহেন নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র পবন খেরার প্রশ্ন, পরিচয় গোপন রাখা এই আর্থিক অনুদানের টাকাতেই কি সাংসদ-বিধায়ক কিনছেন মোদী-অমিত শাহ? এই অনুদানের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে স্পষ্ট বিবৃতি দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। “কোনও প্রশ্ন, উত্তর ছাড়াই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির কোষাগারে ৫,২০০ কোটি টাকা ঢুকে গেল। দেশের কেউ জানতেই পারলেন না, এর বিনিময়ে কে কী পেল? কাদের থেকে বিজেপি এত টাকা পেল? তার বিনিময়েই বা বিজেপি কাকে কী দিল?”, প্রশ্ন কংগ্রেস মুখপাত্রের।