পঞ্চায়েত ভোটের ফলে গ্রামবাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কার। সবুজ ঝড় উঠেছে সর্বত্রই। আর তারপরেই জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে পদের দৌড় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, কর্মাধ্যক্ষ কারা হবেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে এরই মধ্যে দৌত্যে নেমে পড়েছেন অনেকেই। বিজয়ী প্রার্থী ফোন করতে শুরু করে দিয়েছেন, রাজ্য নেতা ও জেলা পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু বাস্তব হল, ভোট মিটলেও জেলা পরিষদে শপথ এখনই নয়। পঞ্চায়েত সমিতি গঠন, জেলা পরিষদে শপথ গ্রহণে এখন মেলা বাকি। কম করে দু’মাসের অপেক্ষা তো বটেই। তার কারণ হল, অধিকাংশ জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।
যেমন পূর্ব বর্ধমান জেলায় জেলা পরিষদের শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ বর্তমান বোর্ড পদাধিকারিদের মেয়াদ শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। তার আগে বোর্ড ভেঙে শপথ নেওয়াতে গেলে আদালতে মামলা হতে পারে। একই ভাবে বাঁকুড়া জেলায় জেলা পরিষদের শপথ সম্ভবত ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হয়েছিল। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জেলা পরিষদে শপথ গ্রহণ হয়েছিল আরও পরে। আবার পঞ্চায়েত সমিতি গঠনও একই শর্তে করতে হবে। আগের সমিতির পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নতুন সমিতি গঠন করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া প্রতিটি জেলা ধরে বহু পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা অনেক। সব কটি সমিতি একদিনে গঠিত হবে না। সেক্ষেত্রেও সময় লাগবে।