রাজ্যে ফের ভোটের বলি। ভোটের আগের দিন ৭ জুলাই ভাঙড়ের আহত তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল এদিন। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আহত ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের আগের দিন ৭ জুলাই বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা রড ও বন্ধুকের বাট দিয়ে রাস্তায় ফেলে মোসলেম শেখকে ব্যাপক মারধর করে। তারপর থেকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোসলেম।
শনিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মারধরের ওঠে আইএসএফ-এর দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। ভাঙড়ে ভোটের আগের দিন লাঠি, বাঁশ দিয়ে ষাটোত্তীর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে বেদম মারে ৫০ থেকে ৬০ জন। শনিবার সকালে বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নিজে যে বুথের সভাপতি, সেই ভাঙর ২ এর ভোগালিতে ভোটের আগের রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাইপো শেখ ইমদাদুলকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে বেরিয়েছিলেন ৬২ বছরের শেখ মোসলেম।
হঠাৎ মাঠের পাশে একটি নির্জন জায়গায় লুকিয়ে থাকা জনা ৫০ ছেলে তাদের ঘিরে ধরে। নির্বিচারে প্রহার শুরু হয়। একা পড়ে যায় ইমদাদুল। কাকাকে বাঁচাতে আরও লোকের সাহায্য দরকার। তাই দৌড়ে বাড়ি ফেরে। সবাই মিলে মিনিট দশেক পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ লাগোয়া পুকুরের ধারে একটি ঝোপের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন শেখ মোসলেম। কলকাতা ও ভাঙড়ের একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয়।