গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাদ যায়নি দিল্লিও। বানের জলে ভাসছে রাজধানী। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গেছে যমুনা নদীর জলস্তর। যার ফলে কারও বাড়িঘর ভেসে গিয়েছে, তো কারও কপালে গত দু’দিনে একটা দানাও জোটেনি। পরিবারকে নিয়ে কোনও রকমে উঁচু দালান বা আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই হয়েছে। জলমগ্ন দিল্লির জায়গায় জায়গায় ধরা পড়ছে এ রকমই অসহায়তার ছবি।
যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিল্লির নিচু এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাগুলির প্রায় সব বাড়িতেই জল ঢুকেছে। সরকারের ত্রাণ শিবিরে থাকতে হচ্ছে বহু মানুষকে। যমুনার জল বাড়তে থাকায় ওয়াজ়িরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলা জল শোধনাগারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী পানীয় জলের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। জলের জন্য নলকূপের সামনে বালতি নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি দোকানবাজার বন্ধ থাকায় খাবারের জন্যও হাহাকার শুরু হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাট। যার ফলে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতেও বিপাকে পড়ছেন দিল্লিবাসীরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় যমুনার জলস্তর সামান্য কমে ২০৮.২৭ মিটারে নেমেছিল। কিন্তু শনিবার সকালে তা আবার বেড়ে গিয়েছে। শনিবার সকাল ৮ টার হিসাব অনুযায়ী, যমুনার জলস্তর ২০৮.৪৮ মিটারে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অনুরোধে নেমেছে সেনাও।