ডমিনিকায় সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখল টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার এল জোড়া শতরান। সেঞ্চুরি পেলেন অধিনায়ক রোহিত। পাশাপাশি টেস্ট অভিষেকেই শতরান করলেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। উল্লেখ্য, এর আগে রোহিতও অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন। এদিন তাঁদের দু’জনের পার্টনারশিপেই ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বড় রানের ভিত তৈরি করে ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৬২ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা। ক্রিজে রয়েছেন যশস্বী (১৪০ অপরাজিত) ও বিরাট (৩৬ অপরাজিত)। এদিন ক্যারিবিয়ান বোলাররা ভারতের ব্যাটারদের কোনও রকম সমস্যা তৈরি করতে পারেননি। দুই ওপেনার শুভমন এবং রোহিত ২২৯ রানের জুটি গড়েন। ২০০২ সালের পর এটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভারতের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। আগেরটি ছিল সঞ্জয় বাঙ্গার এবং বীরেন্দ্র শেহবাগের (২০২)। রোহিত এর মধ্যে টেস্টে ৩৫০০ রানের গণ্ডি পার করেন। টেস্ট কেরিয়ারের দশম শতরান করেন। কিন্তু তার পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অ্যালিক আথানেজের বলে রক্ষণ করতে গিয়ে গ্লাভসে লাগান। সেই বল একটু উঠে পাশেই পড়ছিল। কিন্তু উইকেটের পিছন জসুয়া লাফিয়ে এসে ক্যাচ ধরে নেন। ১০৩ রান করে ফিরতে হয় ভারত অধিনায়ককে। এরপর শুভমন গিলও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
বৃহস্পতিবার যশস্বী সেভাবে কোনও ভুল করার দিকে পা ফেলেননি। ১৭তম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে শতরান করলেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন লালা অমরনাথ। ১৯৩৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ম্যাচে শতরান করেছিলেন। এর পর একাধিক ক্রিকেটার নিজের প্রথম টেস্টে শতরান করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সহবাগ, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ানেরা রয়েছেন। ২০২১ সালে অভিষেক হয় শ্রেয়স আয়ারের। তিনিই শেষ ভারতীয় যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন। তার আগে ২০১৮ সালে পৃথ্বী শ অভিষেক টেস্টে শতরান করেছিলেন। উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন যশস্বী। এর পর ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে ভাল খেলে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা করেছেন। চেতেশ্বর পুজারা ফর্ম হারিয়েছেন। রান পাচ্ছেন না। তাঁকে বাদ দিয়ে যশস্বীকে দলে নিয়েছে ভারত। তবে পুজারার মতো তিন নম্বরে নয়, যশস্বীকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছে। নিজের পছন্দের জায়গা পেয়েছেন ২১ বছরের ওপেনার। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। সহজে নিজের উইকেট দিয়ে আসার মতো কোনও লক্ষণ তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। কঠিন পরিশ্রম করে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন যশস্বী। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মতোই। সেই স্বপ্নপূরণ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে শতরানের সাফল্যে।