একুশের ভোটে হারের পরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এর তরফে বিজেপিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করা না হয়। এমনকি এটাও বলে দেওয়া হয়েছিল বাংলায় আমজনতার জন্য মমতা যে সব প্রকল্প চালু করেছেন তা নিয়ে যেন ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ না করা হয়। আবার চলতি বছরের প্রথমদিকে সঙ্ঘ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেকার সংযোগরক্ষাকারী অরুণ কুমার কলকাতায় এসে বলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের অতি সক্রিয়তা বাংলার শাসকের পক্ষেই নিয়ে যাবে জনমতকে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় কান দেয়নি বঙ্গ বিজেপিই থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এখন তারই খেসারত গুনছেন তাঁরা।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বহু আগে থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে নানা দুর্নীতির মামলায়। অথচ সেই একই দুর্নীতির ঘটনায় কোনও বিজেপি নেতাকে তাঁরা আজ পর্যন্ত না গ্রেফতার করেছে, না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। যাবতীয় পদক্ষেপ শুধু তৃণমূলের নেতাদের নিয়েই। পাশাপাশি রাজ্যের আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলি নিয়েও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতেও তারা পিছুপা হননি। কিন্তু এখন গ্রাম বাংলার রায় সামনে আসার পরে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে আমজনতা এই সব দুর্নীতিকাণ্ডে বিরোধীদের অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় ৪ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের তুলনায় তাঁদের ভোট কমেছে ১৫ শতাংশ।