পঞ্চায়েত ভোটের সূচনা থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন থেকেই তাঁর এই ‘অতিসক্রিয়তাকে’ ভাল চোখে দেখেনি শাসকদল তৃণমূল। এরই মধ্যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তারপরই রাজ্যপালের ‘আচরণ’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি। স্পিকারের কথায়, ‘রাজ্যপালকে সবাই শ্রদ্ধা করে, আমরাও করি। কিন্তু ওঁর সংযত হওয়া দরকার। হাইকোর্টের নোটিসে এই বার্তা দেওয়া উচিত। হাইকোর্ট তো এতকিছু দেখছে!’ হাইকোর্টে যারা মামলা লড়েন, সেই সমস্ত আইনজীবীর বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্পিকার।
বস্তুত, এদিনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সহ বিজেপির দিল্লির টিমের সদস্যরা। সঙ্গে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিএসএফের আইজি সতীশ চন্দ্র বুদাকোটিকেও ডেকে নেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই রাজ্যপালের ‘আচরণ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। আজ আদি নেপালী কবি ভানু ভক্ত আচার্যের ২০৯ জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে বিধানসভায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এই বিষয়েও এদিন অনুযোগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে স্পিকারকে। বলেছেন, ‘আগের বিধানসভায় যারা বিরোধী (বাম-কংগ্রেস) ছিলেন, তারা প্রত্যেকে প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। এখন যারা বিরোধী দলে রয়েছেন, তাদের ভূমিকা হতাশা জনক। এরা বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানে আসে না। শুধুই রাজনীতি করার জন্য রাজনীতি করে।’