প্রবল বর্ষণে রীতিমতো বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। দিল্লীতে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বন্যা পরিস্থিতি। এবার উদ্ধারকাজে নামল ভারতীয় সেনা। কাজে লাগানো হচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। ইতিমধ্যেই জলে ডুবে গিয়েছে দিল্লীর বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যের বাঁধ থেকে জল ছাড়ার জেরেই প্লাবিত রাজধানী। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবারেই দিল্লীর একাধিক এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু রাস্তাকে মনে হচ্ছে নদী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির কাছের এলাকাও জলমগ্ন।
এমতাবস্থায় সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য চেয়ে টুইট করেন কেজরিওয়াল। তার কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধারকাজে শামিল হয় সেনা। বৃহস্পতিবার দিল্লীর একাধিক জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন কেজরিওয়াল। তবে সেখান থেকেও কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, আরও আগে থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ব্যবহার করলে হয়তো এই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হত না দিল্লীবাসীকে। উপরাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো সত্ত্বেও সেনা নামানোর অনুমতি মেলেনি বলেই দাবি দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর। শহর জুড়ে বন্যার জেরে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে পুরো দিল্লী। এর মধ্যে আরও বিপদ বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টি হতে পারে দিল্লী, হরিয়ানা-সহ একাধিক এলাকায়। টানা পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা।