হাতে আর বেশিদিন নেই। আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে আচমকাই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন বাবদ খরচের জন্য বরাদ্দ ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ভোট আসছে। আর তাই সরকারি-বেসরকারি প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বেশি করে প্রচার করতেই এই কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেসের জন যোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘প্রচার মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, অর্থ বরাদ্দ সম্পূর্ণ বেআইনি। সংসদে পাশ হওয়া বাজেটকে প্রশাসনিক নির্দেশে বদলে দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের প্রচারের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠান চালু ছিল। তার অন্যতম হল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এছাড়া ছিল ডিএভিপি, ফিল্ড পাবলিসিটি ইত্যাদিও কাজ করত সমান্তরালভাবে। ডিএভিপি সরকারি ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। মোদী সরকার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বাদে প্রচার সংক্রান্ত বাকি প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে ২০১৭ সালে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন তৈরি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে। চলতি বাজেটে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
কিন্তু অর্থমন্ত্রক এক চিঠিতে সব মন্ত্রককে বলেছে, তাদের হাত দিয়ে প্রচারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ আছে তার ৪০ শতাংশ যেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশনকে হস্তান্তর করা হয়। কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি তুলেছে। তাদের বক্তব্য, লোকসভার ভোট এগিয়ে আসাতেই কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের প্রচার-ঢাক বাজাতেই এই উদ্যোগ। আর সরকারি প্রচার মানেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা। সেই কারণেই বিভিন্ন মন্ত্রকের বরাদ্দ ছাঁটাই করে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশনকে দেওয়া হয়েছে। তাই সংসদকে অন্ধকারে রেখে এক লাফে তাদের বরাদ্দ অর্থ বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হল।