বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি শুধু যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাই নয়, কার্যত দল ও সংগঠনের বেহাল দশাও এখন সামনে চলে এসেছ। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চয়াতের রায় বলছে এবারের ভোটে বাম ও কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে। কিন্তু ভোট প্রাপ্তির হার কমেছে বিজেপির।
বাম-কংগ্রেস নিজেদের ভোট বাড়াতে পারলেও বিজেপি কেন তা পারল না এখন সেই প্রশ্নের মুখেই পড়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রশ্ন তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের দাবি, ভোট কমার জন্য সুকান্ত ‘সন্ত্রাস’-এর কাঁদুনি গাইলেও তা মানতে নারাজ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, বাংলা নিয়ে এ যাবৎকাল পর্যন্ত বিজেপির যে সব নেতারা দিল্লি থেকে এসে বাংলা ঘুরে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরাও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন।
গ্রাম বাংলার রায় বলছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৫২ শতাংশ ভোট। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা ছিল ৫৬ শতাংশ। যদিও সেবার অনেক বেশি আসনে ভোটই হয়নি। এবারে সেই ছবি কিন্তু অনেকটাই বদলেছে। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে তৃণমূলের ভোট কিন্তু অনেকতাই বেড়েছে।
আবার একুশের ভোটে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে এবারে তৃণমূলের ভোট বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। উনিশের ভোটে বামেরা পেয়েছিল প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশের কিছু বেশি। একুশের ভোটে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ মিলিত ভাবে পেয়েছিল ১০ শতাংশ ভোট। একা বামেরাই পেয়েছিল প্রায় ৫ শতাংশ ভোট। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের ভোট প্রাপ্তির হার কিন্তু বেড়েছে। একা বামেরাই পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তাঁদের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। কংগ্রেস এবারে পেয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ ভোট। একুশের ভোটের তুলনায় তা ৩ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস এই ৩ দলেরই ভোট প্রাপ্তি বেড়েছে।