পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্ব শেষ হতেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আজ নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি, বিএসএফের সঙ্গে হয়ে গেল বৈঠক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের সংবেদনশীল এলাকায় আপাতত রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ টহল দেবে। প্রত্যেক জেলায় ইতিমধ্যেই একজন করে নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের যাতে থাকা, খাওয়া বা যাতায়াতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব এই ব্যাপারে সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সবরকমভাবে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ব্লক স্তর পর্যন্ত কোথাও কোনও অশান্তি বা হিংসার ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি দেখেই উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, ভোটের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। সেই মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলুক কমিশন। সেইমতো বৃহস্পতিবার নবান্নে বাহিনী রাখা নিয়ে বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নোডাল অফিসারের নেতৃত্বে স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে বিএসএফ। ‘‘প্রিয় মিডিয়া বন্ধুরা, আপনারা ভোটের সময়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, বিভিন্ন হিংসা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা-সহ ভোট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়েরই ভাল কভারেজ দিচ্ছেন। যেহেতু আপনাদের প্রতিনিধিরা গ্রাউন্ড জিরো-তে রয়েছেন এবং আপনারা বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাই সেই সূত্রে আপনারা যদি ভোট-পরবর্তী হিংসার কোনও ঘটনা জানতে পারেন বা কোনও তথ্য পান, তাহলে আমাদের টিমকে জানান। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ব্লক লেভেল পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং তাদের উপর হিংসা সামলানোর দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর দিয়ে সাহায্য করুন”, এদিন সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে এমনই বার্তা দেয় বিএসএফ।