গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাদ যায়নি দিল্লিও। বানের জলে ভাসছে রাজধানী। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গেছে যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু রাস্তাকে মনে হচ্ছে নদী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির কাছের এলাকাও প্লাবিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিরোধ সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে ‘হাতে হাত মিলিয়ে কাজ’ করার বার্তা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় মঙ্গলবার রাতেই রাজধানীর সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, গত তিন দিন দিল্লিতে বিশেষ বৃষ্টি হয়নি। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে যথাসম্ভব কম হারে জল ছাড়ার আরজি করেছেন তিনি।