ফের প্রকাশ্যে এল গোপন নথি পাচারের ঘটনা। এবার জি-২০ গোষ্ঠীর গোপন নথি পাকিস্তানের কাছে তুলে দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকেরই এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি’র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই কর্মচারীকে মঙ্গলবার পাকড়াও করা হয়। ধৃত নবীন পাল অস্থায়ী কর্মী হিসেবে বিদেশ মন্ত্রকে কর্মরত ছিল। গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে এক মহিলাকে জি-২০ সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাঠিয়েছেন ধৃত নবীন। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় ওই মহিলার ঠিকানা দেখানো হলেও তিনি যে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করেছেন, সেটি পাকিস্তানের করাচির।
উল্লেখ্য, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক রিপোর্ট, বিদেশ মন্ত্রকের বেশ কিছু গোপন রিপোর্ট এবং জি-২০ বৈঠক সংক্রান্ত বেশ কিছু গোপনীয় নথি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের এজেন্টের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নবীন। গাজিয়াবাদ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃত বিদেশ মন্ত্রকের কর্মচারীর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই ফোন খতিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানি এজেন্টকে পাঠানো একাধিক গোপনীয় নথির হদিশ মিলেছে। রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা এক মহিলার কাছ থেকে ইউপিআই পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রচুর টাকা ঢুকেছে নবীনের ওয়ালেটে। তথ্য পাচারের বিনিময়ে ধৃত ওই অর্থ পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আলওয়ারের বাসিন্দা ওই মহিলার গতিবিধির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। কীভাবে পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে পরিচয় হল, আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, সে বিষয়ে জানতে আইবি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন নবীনকে।