বাংলায় সদ্য সম্পন্ন হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন।মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে গণনা ও ফল ঘোষণা। ভোট চলাকালীন রাজ্যের কিছু জায়গায় ঘটেছে হিংসা-অশান্তির ঘটনা। প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। এবার সেই নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। আজ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ভোট হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের পরিবারের জন্য দুঃখিত। আমি সমব্যথী। পুলিশকে ফ্রিহ্যান্ড দিচ্ছি। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিন। আমরা ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করছি। ভোট হিংসায় ১৯ জন মৃত। তার মধ্যে ১০-১২ জন আমাদেরই। ভোটের দিন ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন তৃণমূলের। বাকি ৩ অন্যান্যদের।” আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি মমতা বলেন, “বিচ্ছিন্ন কটা ঘটনা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আমাদেরই একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে জানি তাঁর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও ঘটনা নেই। শীতলকুচি, চাকুলিয়ায় দু’টি ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। বাসন্তীতে একটা ঘটনা ছাড়া কিছু নেই। ঘটনা ঘটেছে মূলত ২টি জেলায়। ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে ২৩টি জেলার।” তাছাড়া মমতার অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে রাজ্যের নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা। এদিন তা বন্ধেরও আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।