লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির চিন্তা বাড়াল পঞ্চায়েত ভোটের ফল। উত্তরবঙ্গ থেকে সাতটি ও জঙ্গলমহল থেকে পাঁচটি, মোট ১২টি আসন গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা ভোটে ধাক্কা খেলেও গড় পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি। কিন্তু পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ভরাডুবি দশা। এমনকী মতুয়াগড়েও একুশের হাওয়া ২৩-এ এসে ফিকে। পাশাপাশি, আসানসোলের গেরুয়া রঙও খানিক চটল পঞ্চায়েতে। কারণ আসানসোলের চারটি ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে বইল সবুজ ঝড়। আসানসোলের সালানপুর বারাবনি, রানীগঞ্জ এবং জামুরিয়াতে তৃণমূলই সর্বাধিক আসন পেয়ে প্রায় সবকটিই পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে চলেছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে রানীগঞ্জের আমরাসোতায় বোর্ড গঠন করতে চলেছে সিপিআইএম। সবচেয়ে সঙ্গীন অবস্থা বিজেপির। দলীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বিধানসভা এলাকাতেই গেরুয়া ভোট তলানিতে এসে ঠেকেছে।
আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বারাবনি। এই বিধানসভায় সালানপুর এবং বারাবনি। এই দুটি ব্লকেই বিরোধীরা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বারাবনি ব্লকে ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবগুলিই তৃণমূলের দখলে। সালানপুর ব্লকেও ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবই তৃণমূলের। আসনের নিরিখে বারাবনিতে ১১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১৬ টি তৃণমূলের। একটি ক’রে আসন পেয়েছে BJP ও সিপিএম । বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ টি এবং সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি ২৮ টি আসনের কোনওটিও বিরোধীরা পায়নি। সবগুলি দখল করেছে তৃণমূল। একই ভাবে রানীগঞ্জ ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ৫ টি ও সিপিএম ১ টি দখল করেছে। জামুড়িয়া ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবগুলিই তৃণমূলের। অন্যদিকে, আসনের নিরিখে বামেরা বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।