করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে দেশবাসীর মনে। এবার সেই উড়িষ্যাতেই ফের ঘটল বিপর্যয়! ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস থেকে হঠাৎই বের হল ধোঁয়া! ব্রহ্মপুর স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিও। তবে সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি রেললাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। জীবনসংশয়ের বশবর্তী হয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন একাধিক যাত্রী। শিশু ও মহিলারা প্রাণভয়ে ছুটতে শুরু করেন। কামরার নীচে থেকে সাদা ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পাওয়া যায়। রেল আধিকারিক বসন্ত কুমার সৎপতিকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, “কোনও দুর্ঘটনার জন্য় এই ধোঁয়া বের হয়নি। একটি বস্তা কোনওভাবে চাকার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল। এর জেরে ব্রেক আটকে যায়। সেই বস্তা সরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল। ১৫-৩০ মিনিটের জন্য ট্রেনটি থেমেছিল।
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মপুর স্টেশনে ভালো করে পরীক্ষা করা হয় ট্রেনটি। তারপরে ছাড়া হয়। সম্প্রতি এই উড়িষ্যার বালাশোরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গত ২রা জুন বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল)। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সেইসময় উলটো দিকের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই ঘটনায় সার্বিকভাবে প্রায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ১,০০০ জনের বেশি। সেই বিভীষিকা এখনও টাটকা। এর মধ্যেই ফের এহেন বিপত্তি। বস্তা কীভাবে জড়িয়ে গেল ট্রেনের চাকায়? আর এভাবে ধোঁয়াই বা বের হল কেন? এমনই প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল। সরব হয়েছে একাধিক মহল।