সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ কি ফের বহাল করা হবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তেই সায় দেবে আদালত? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার থেকে এই মামলা শুনবেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রথমসারির সব রাজনৈতিক দল এবং একাধিক সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ পুনরায় চালু করার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদটি বাতিল করে দেওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ স্বাধিকার হারিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের ভারতভূক্তির শর্তের পরিপন্থী।
অন্যদিকে, শুনানি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে সোমবার রাতে ভারত সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে দাবি করা হয়, ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার ছিল ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এরফলে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জীবনে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ত্বরান্বিত হয়েছে উন্নয়ন, নিশ্চিত হয়েছে নিরাপত্তা, সুরক্ষা, ফিরেছে সমতা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর ৫ অগাস্ট ভারত সরকার সংসদে বিল এলে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদটি বাতিল করে দেয়। ওই অনুচ্ছেদে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য বিশেষ সুবিধা ও মর্যাদার উল্লেখ ছিল। বিশেষ সুবিধাগুলির অন্যতম ছিল ওই রাজ্যে বহিরাগতরা জমি-সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। রাজ্যের নিজস্ব পতাকা, প্রতীক, সঙ্গীত, রেডিও স্টেশন চালু ছিল। চালু ছিল রাজ্যের নিজস্ব কিছু আইনও ছিল। আবার দেশের অনেক আইন জম্মু-কাশ্মীরের বলবৎ হত না। ২০১৯-এর ৫ অগাস্টের পর থেকে পরিস্থিতি বলদে গিয়েছে। দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই জম্মু-কাশ্মীর চালিত হচ্ছে। বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তে অবশ্য চমক ছিল না। বিজেপি দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার সময়ই ঘোষণা করেছিল তারা সংসদে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা অর্জন করলে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেবে। তাদের মতে, ওই অনুচ্ছেদ অখণ্ড ভারতের ধারণার পরিপন্থী।