দেশের প্রতিটি ব্লকে অন্তত দুটি করে স্কুলকে আধুনিক শিক্ষাঙ্গন হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এরজন্য অর্থ জোগাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত বছর সেপ্টেম্বরে এই ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এখন জানা যাচ্ছে, ওই প্রকল্পে টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের নামের আগে ‘পিএম-শ্রী’ কথাটি বসাতে হবে। এককথায় নাম বদলে দেওয়া হবে স্কুলের এবং ভবিষ্যতে তা আর বদল করা যাবে না।
বাংলা-সহ দেশের অন্তত ছয়টি রাজ্য এই ব্যাপারে দিল্লির নির্দেশিকায় আপত্তি তুলেছে। বাকি পাঁচ রাজ্য হল, তামিলনাড়ু, কেরালা, উড়িষ্যা, বিহার এবং দিল্লি। দিল্লি থেকে বলা হয়েছে, পিএম-শ্রী প্রকল্পে অর্থ পেতে হলে রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে সমঝেতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। তাতেই স্কুলের নাম বদলের শর্তের উল্লেখ আছে।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত কিংবা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো পিএম-শ্রী প্রকল্পেও ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হয়। আপত্তি তোলা রাজ্যগুলির বক্তব্য, রাজ্যকে যদি ৪০ শতাংশ অর্থ বহন করতে হয় তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী কথাটি প্রকল্পে থাকবে? স্কুলের নামেই বা কেন পিএম-শ্রী লেখা হবে?
তাদের বক্তব্য, স্কুলের নামের সঙ্গে এলাকার ইতিহাস, আবেগ যুক্ত থাকে। মহাপুরুষ, স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে যেমন স্কুল আছে তেমনই এলাকার সহৃদয় ব্যক্তির দানে তৈরি স্কুলও তাঁর নামে উৎসর্গ করেছে মানুষ। এই ভাবে শিক্ষাঙ্গনের নাম বদলে দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত?