এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একজন তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যজনের কাঁধে গুরু দায়িত্ব ছিল বিজেপির হয়ে জেলা পরিষদ দখলের। কিন্তু ভোট সূত্র বলছে, যিনি সরাসরি প্রার্থী হয়েছেন, তিনি এবার জিততে পারেন। কিন্তু যার কাঁধে জেলা পরিষদ দখলের দায়িত্ব ছিল তিনি নিজের এলাকার মাটিই ধরে রাখতে পারেননি। কথা হচ্ছে, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল।
সুজাতা এবার বাঁকুড়া জেলারই জয়পুর ব্লকের ৩টি জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে ১টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। যে এলাকায় সুজাতা প্রার্থী হয়েছেন সেই এলাকাটি আবার সৌমিত্রের সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। অর্থাৎ এবারের নির্বাচন ছিল সৌমিত্র আর সুজাতা দুইজনের কাছেই মর্যাদার লড়াই। সুজাতা একুশের ভোটেও লড়াই করেছেন। তৃণমূল তাঁকে হুগলি জেলার আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু ৭ হাজারের সামান্য কিছু বেশি ভোটে তিনি হেরে যান। এবার দল তাঁকে জয়পুরের জেলা পরিষদ আসন থেকে প্রার্থী করেছে।
উনিশের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রই গিয়েছিল বিজেপির দখলে। একুশের ভোটে জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৮টি আসনে। তার মধ্যে ৫টিই ছিল সৌমিত্রের সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যে থাকা বিধানসভা কেন্দ্র। এই ৫টি কেন্দ্র হল সোনামুখী, ইন্দাস, কোতুলপুর, বিষ্ণুপুর এবং ওন্দা। জেলার বেশির ভাগ বিধানসভা কেন্দ্র দলের দখলে আসায় এবার সৌমিত্রের ঘাড়ে দায়িত্ব বর্তেছিল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ দখল করার। কিন্তু সূত্র বলছে সেই লক্ষ্যে সম্ভবত সফল হচ্ছেন না সৌমিত্র। বাঁকুড়া জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলেই থেকে যাচ্ছে। সুজাতাও জিতছেন।