জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা আসার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। এই বিভ্রাটে জরুরি অবতরণ করতে হয় হেলিকপ্টারকে সেনাবাহিনীর হেলিপ্যাডে। তার জেরে ব্যাপক চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এখন তিনি কালীঘাটের বাড়িতে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে এবার তদন্তে করতে নেমেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বেসরকারি ওই হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ডিজিসিএ সূত্রে খবর।
এদিকে আগের থেকে ভাল আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। তাঁর হাঁটু ও কোমরের ব্যথার চিকিৎসা শেষ হয়েছে পিজি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার। আর শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে পিজি হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনের প্রধান রাজেশ প্রামাণিক মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যান। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এখন পায়ের ব্যথা অনেকটা কমেছে। অল্প করে হাঁটাচলা শুরু করেছেন তিনি। সাধারণত বিমান, হেলিকপ্টার আকাশপথে গণ্ডগোল করলে বা অনিয়ম দেখা দিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ তার তদন্ত করে। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, চিকিৎসা প্রসিডিউর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর আর ফিজিওথেরাপি করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। তবে এখন চোটের চিকিৎসা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক হাঁটাচলায় ফিরতে খানিকটা সময় লাগবে। হাঁটাচলা করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতা বাড়াতে হবে। চিকিৎসকরা তাঁকে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলেও আজ, সোমবার পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। অথচ পায়ের চোটের কারণে তিনি কোথাও যেতে পারছেন না। তবে ঘরে বসেই সবটা মনিটরিং করছে।