আগামী ১১ই জুলাই, মঙ্গলবার সম্পন্ন হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাপর্ব। গণনা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। রাজ্যে মোট গণনাকেন্দ্র ৩৩৯টি। প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সক্রিয় থাকেন ৮২ জন সদস্য। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। গণনাকেন্দ্রে বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও। ভোটের দিন রাজ্যের সব বুথে পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে গণনার দিন ৩৩৯টি কেন্দ্রে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় হবে ভোটগণনা সম্পন্ন হবে।
পাশাপাশি, বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপারের বৈধতা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া এবং তার পিছনে রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া সেগুলি গণ্য করা হবে না। মঙ্গলবারের মধ্যেই গণনা শেষ হওয়ার কথা। যদি তা না হয়, তবে গণনার কাজ টানা চলবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। বাকি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও তিন রাউন্ড। প্রতি গণনা কেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া প্রতি জেলায় থাকবেন এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গণনা চলবে ৩০,৩৯৬টি টেবিলে।