বিজেপিশাসিত মণিপুরে এখনও জ্বলছে জাতিহিংসার আগুন। পরিস্থিতি আগের মতোই উদ্বেগজনক। নেই কোনও সুরাহার আভাস। মেতেই ও কুকি জাতির সংঘর্ষে দু’মাসে কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত হয়েছেন মণিপুরে। ক্রমাগত অশান্তি ও বিশৃঙ্খলায় আতঙ্কে দিন গুজরান হচ্ছে সে রাজ্যের বাসিন্দাদের। তবুও এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই মোদী সরকারের। মণিপুরের দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে এবার কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন কেরল ক্যাথলিক আর্চবিশপ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কার্ডিনাল মার বাসেলিওস ক্লিমিস। “কেউ যেন মনে না করে যে, তারা ভারত থেকে খ্রিস্টধর্মকে মুছে ফেলবে”, জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মণিপুরের জাতিহিংসা অনেক অংশে ধর্মীয় দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। পোড়ানো হয়েছে একাধিক চার্চ এবং মন্দির। উত্তরপূর্বের রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটা অংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এত বড় দাঙ্গার পরেও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। সম্প্রতি মণিপুরের জাতিহিংসা নিয়ে কেরলে কংগ্রেস বিধায়ক ম্যাথু কুজলনাদান একটি প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন কেরল ক্যাথলিক আর্চবিশপ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, “মণিপুর নিয়ে মুখ খোলা উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গোটা বিশ্বের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার উদাহরণ রাখা উচিত। যাঁরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেন, তাঁরা কেন মণিপুরে শান্তে ফেরাতে পারছে না? আমাদের সংবিধানে লেখা ধর্মনিরপেক্ষতা একটি আলংকারিক শব্দ নয় বরং প্রণীত দর্শন। আমাদের মহান সংবিধান যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। কেন লুকিয়ে রাখা এই ভাবনাকে?” মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেই মনে করছেন ক্লিমিস।