শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আর এখনও পর্যন্ত ভোট পর্বের যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে বুথের বাইরে লাইনে পুরুষ-মহিলার সংখ্যায় বিশেষ তফাৎ নেই। আর তা দেখে রাজনৈতিক মহলে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল— এবারও কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই মোক্ষ লাভ হবে তৃণমূলের?
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের পর বাংলায় অধিকাংশ পর্যবেক্ষকেরই মত ছিল, মহিলা ভোটের কারণেই তৃণমূল বহু আসনে এগিয়ে গিয়েছে। তার কারণ অবশ্যই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা। আগে থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ক্যাম্পেন। পাশাপাশি মমতার মাস্টার স্ট্রোক ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।
ঘটনা হল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছিল একুশের ভোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এখন অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট আসতে আসতে বাংলার প্রায় ২ কোটি মহিলা মাসে ৫০০ টাকা বা ১ হাজার টাকা (তফসিলি জাতি বা উপজাতি হলে) করে পাচ্ছেন। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্প ঘোষণার ফসল ঘরে তোলার পর এবার তৃণমূল যে এই প্রকল্প চালুর ফসল ঘরে তুলবে, তা বলাই বাহুল্য।
কারণ, এবার পঞ্চায়েত ভোটে মোট ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ। আর মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৭৮ লক্ষ। অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলাদের সংখ্যায় মাত্র ১১ লক্ষের ফারাক রয়েছে। গড়পরতায় এক একটি জেলায় পুরুষ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যার মধ্যে ফারাক মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার।