ভোট সকালেই শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘আজ পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম বাংলার ৫ কোটি ৬৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। সবাই এগিয়ে আসুন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ রাজ্যের শাসক দলের নেত্রী হিসাবে নয়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই তিনি এদিন এই বার্তা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন দিনভর ভোটের দিকে নজর রাখবে জোড়াফুল শিবির। হাঁটুতে চিকিৎসার পর তৃণমূল সুপ্রিমো বাড়িতেই রয়েছেন। আজ সারাদিন বাড়িতে থেকেই ভোটের ওপর নজর রাখবেন তিনি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশও পাঠাতে পারেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকেই এদিন দিনভর ভোটের দিকে নজর রাখবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্ট্রোল রুমে থেকে তিনি মনিটরিং করবেন। ভোট পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে জেলার চিত্র যাতে প্রতি মুহূর্তে আসে, তৃণমূল সেই ব্যবস্থাই নিয়েছে। জেলার নেতারা প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেবেন। কোথায়, কেমন ভোট হচ্ছে—তা বিস্তারিতভাবে জানানো হবে দলের রাজ্য স্তরের কন্ট্রোল রুমে।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, গ্রামের এই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করাই তাদের মূল লক্ষ্য। বিরোধীরা কোথাও কোনওরকম গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করলে তা তৎক্ষণাৎ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিস প্রশাসনকে জানানো হবে। কিন্তু জেলার সমস্ত নেতা-কর্মীর উদ্দেশে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ—বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ প্রভৃতির কাজকর্মের দিকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। পঞ্চায়েত ভোট হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। এই বার্তাটা স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল।