২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। দ্বন্দ্বের কয়েক মাস আগে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম অপারেটর সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের চিনা টেক জায়ান্ট-এর সঙ্গে বিএসএনএল-এর কল ডেটা রেকর্ড-এর নয়া সিস্টেমের জন্য ৫০০ কোটির টেন্ডার দেয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকমিউনিকেশন কনসালট্যান্টস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে চিনা সংস্থার কাজে এই কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারটি দেওয়া হয় ২০২০ সালের প্রথম দিকে।
কিন্তু অচলাবস্থার পরে, কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে তার ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করতে চিনা সরঞ্জাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সত্ত্বেও, বিএসএনএল শেষ অবধি চিনা সংস্থার সঙ্গে তার চ্যুক্তি অটুট রেখেছে। হোয়েল ক্লাউড প্রাথমিকভাবে জেডিটিই-এর একটি সহযোগী সংস্থা ছিল। এবং ২০১৮ সালে, এটি আরেকটি চিনা সংস্থা, আলিবাবা-র একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘টিসিআইএল-কে বিএসএনএল কল ডেটা রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে একটি বিলিং সিস্টেম তৈরি করার জন্য একটি টেন্ডার দেয়। হোয়েল ক্লাউড কাজটি সাবকন্ট্রাক্ট হিসাবে করছে’। এ প্রসঙ্গে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, ‘চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চিনা সংস্থার যে কাজটি করেছে তা হল একটি বিলিং সমস্যা সংক্রান্ত সমাধান তৈরির জন্য একটি সফটওয়্যার এই বিষয়টিকে আমরা সংবেদনশীল মনে করি না’।