ভোটের আবহাওয়া যেন ক্রমেই উতপ্ত হয়ে উঠছে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই কোথাও বোমাবাজি তো আবার কোথাও গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বারে দিনহাটা মহকুমার সিতাই বিধানসভার অন্তর্গত গিতালদহ দোলগোবিন্দ জয়শ্রী নারায়ণ বুথের কংগ্রেসের প্রথী লিলিমা খাতুনের স্বামী লাভলু হককে বন্দুক হাতে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি রীতিমত রাস্তার মধ্যে দাড়িয়ে বন্দুক হাতে নিয়ে ভোট দিতে যাওয়া মানুষকে ভয় দেখছেন। জোর পূর্বক ভোট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি এমনটাই অভিযোগ করেন এলাকার মানুষ।
এলাকাটি যদিও গিতালদহ পুলিশ ফাঁড়ির আওতায় পড়ে। তবুও বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোন সক্রিয় ভূমিকা চোখে পড়েনি। এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। পরে এই গিতালদহ থেকেই ফের গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে৷ খবর মেলে সেখানে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৷ যদিও সেখান থেকে মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি৷
মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম বাবর আলি। জানা গিয়েছে, ভোটের আগের দিন শুক্রবার রাতে গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। তখনই দুষ্কৃতীরা এসে ফুলচাঁদ শেখ ও বাবর আলিকে মারধর করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
তুফানগঞ্জে খুন হয় তৃণমূল কর্মী৷ বুথ ক্যাম্পে কাজ করার সময় হামলায় নিহত হয় তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকার৷ তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে৷ ভোটের আগের রাতে মৃত এক তৃণমূল কর্মী। কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের রামপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাট বলগা এলাকায় ৬৮ নম্বর বুথে দু’জন তৃণমূল কর্মী বুথ ক্যাম্পে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পিছন থেকে অন্ধকারে তাদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির দুষ্কৃতীদের দিকে। সেই ঘটনায় গণেশ দাস নামে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।