বুধবারই এনসিপির জাতীয় সভাপতি পদ থেকে কাকা তথা প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারকে উৎখাতের কথা ঘোষণা করেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। সেই সঙ্গে নিজেকে এনসিপির নতুন সভাপতি ঘোষণা করেন তিনি। আর ভাইপোর সেই ঘোষণার পরই শরদ পাল্টা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছিলেন, ওঁকে (অজিত পাওয়ার) দল ছাড়া না করা পর্যন্ত থামব না। আর বৃহস্পতিবার সকালে জানা গেল, ভোরের বিমানে দিল্লি রওনা হয়েছেন মারাঠা স্ট্রং ম্যান। রাজধানীতে বিকাল ৩টায় জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন পাওয়ার। সেই বৈঠক থেকে শরদকে জাতীয় সভাপতি ঘোষণা করে নতুন করে প্রস্তাব পাশ করানো হবে। সেই সঙ্গে দলে শক্তি পরীক্ষাও দিতে চান শরদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলের নাম, প্রতীক, সম্পত্তি রক্ষায় এই পদক্ষেপ জরুরি।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিধায়ক সংখ্যার শক্তি পরীক্ষায় ভাইপোর কাছে হেরে যান শরদ। অজিতের বৈঠকে দলের ২৯জন বিধায়ক হাজির ছিলেন। শরদের বৈঠকে যোগ দেন মাত্র ১৩ জন। যদিও অজিতের শিবিরে বেশি বিধায়কের হাজিরা তাঁর জন্য পুরোপুরি স্বস্তির হয়নি। দলত্যাগ বিরোধী আইনের খাড়া থেকে বাঁচতে হলে ৩৬ বিধায়কের সমর্থন দরকার। অজিতের পাশে আরও সাত বিধায়ককে চাই। ফলে রাশ পুরোপুরি তাঁর হাত থেকে চলে যায়নি বুঝতে পেরে নতুন করে দৌড় শুরু করেছেন ৮৩ বছরের ‘তরুণ’ শরদ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বৃহস্পতিবার শরদের দিল্লির বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা তাঁর প্রতি আস্থা ব্যক্ত করলে অজিতের দাবি মিথ্যা হয়ে যাবে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গোটা দেশের নেতারা হাজির হবেন। তাঁরা বেশিরভাগই শরদের লোক।