রাজনীতির সঙ্গে অভিনয় জগত, বিশেষ করে বলিউড ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এবার এনসিপি বনাম এনসিপির লড়াইয়েও চলে এল সিনেমার প্রসঙ্গ। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি কার, তা নিয়ে শরদ পাওয়ার বনাম অজিত পাওয়ারের যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এবার শহর জুড়ে পোস্টার পড়ল। অজিত পওয়ারকে বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়ে পোস্টার লাগালেন শরদ পওয়ারের সমর্থকরা। সাধারণ মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকতা জন্য় অজিত পওয়ারকে কখনও ক্ষমা করবেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টারে। নিজের কাকার সঙ্গে অজিত যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা তুলে ধরতে বাহুবলী সিনেমার বিশেষ দৃশ্য় ব্য়বহার করা হয়েছে।
দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের যে বাসভবন রয়েছে, তার বাইরেই পোস্টার লাগিয়েছেন সমর্থকরা। অজিত পওয়ার যেভাবে এনসিপির দায়িত্ব কেড়ে নিয়েছেন, তা দক্ষিণের ব্লকবাস্টার সিনেমা বাহুবলীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। অজিত পওয়ারকে কাটাপ্পার সঙ্গে এবং শরদ পওয়ারকে বাহুবলীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। বাহুবলী সিনেমার প্রথম পর্বের শেষ দৃশ্যে যেভাবে কাটাপ্পা বাহুবলীর পিঠে ছুরি মেরেছিলেন, ঠিক সেভাবেই অজিত পওয়ারও তাঁর কাকা শরদ পওয়ারের পিঠে ছুরি মেরেছেন বলেই দাবি সমর্থকদের।
এনসিপির পড়ুয়া সংগঠনের তরফে লাগানো ওই পোস্টারে লেখা, ‘আপনদের মাঝেই বিশ্বাসঘাতকরা লুকিয়ে থাকে, গোটা দেশ তা দেখতে পাচ্ছে। জনতা এই ধরনের প্রতারকদের কখনও ক্ষমা করবে না’। পোস্টারের নীচেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা গদ্দার।
গতকাল এনসিপির দুই শিবিরই নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের বৈঠক ডেকেছিল। এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩২ জন বিধায়ক-সাংসদই অজিত পওয়ারের বৈঠকে যোগ দেন। অন্যদিকে, শরদ পওয়ারের বৈঠকে ১৪ জন বিধায়ক যোগ দেন। অজিত পওয়ার এনসিপির নাম ও প্রতীকে অধিকার জাহির করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন ইতিমধ্যেই। এদিকে, ভাইপোর এই চালের পরই শরদ পওয়ার আজ দিল্লিতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন।