যাত্রী সংখ্যা নগন্য। ফলে একাধিক রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া কমাতে চলেছে ভারতীয় রেল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, স্বল্প দূরত্বের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলিতে যাত্রীর সংখ্যা কম হচ্ছে। শূন্য থাকছে প্রচুর আসন, সেই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনগুলিতে এবার ভাড়া কমাতে চলেছে রেল। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সব দিক খতিয়ে না দেখে তড়িঘড়ি বন্দে ভারত উদ্বোধন করা হল কেন? নেপথ্যে কি দ্রুত চমকের দেওয়ার চেষ্টা?
জানা গিয়েছে, ইন্দোর-ভোপাল, ভোপাল-জব্বলপুর, নাগপুর-বিলাসপুর রুট-সহ আরও কয়েকটি রুটে বন্দে ভারতের ভাড়া কামানো হতে পারে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসে ইন্দোর-ভোপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গড়ে মাত্র ২৯ শতাংশ আসন ভরতি হয়েছে। ওই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। ফিরতি পথে আসন পূর্ণ হয়েছে আরও কম। গড়ে ২১ শতাংশ। পাঁচ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের যাত্রা করে নাগপুর-বিলাসপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেখানে গড়ে ৫৫ শতাংশ আসন ভরতি হচ্ছে। অন্যদিকে চার ঘণ্টা ৩০ মিনিটের ভোপাল-জব্বলপুর বন্দে ভারতে গড়ে ৬৮ শতাংশ আসনই ফাঁকা পড়ে থাকছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোর-ভোপাল বন্দে ভারতে এসি চেয়ার কারের ভাড়া ৯৫০ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে খরচ ১,৫২৫ টাকা। নাগপুর-বিলাসপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চেয়ার কারে টিকিটের দাম পড়ছে ১,০৭৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে তা বেড়ে ২,০৪৫ টাকা। ভোপাল-জব্বলপুরের চেয়ার কারে ভাড়া ১,০৫৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে টিকিটের জন্য ১,৮৮০ টাকা গুনতে হয়। ফিরতি পথে ভাড়ার হেরফের হয় অবশ্য। আসল কথা পকেট খসিয়ে বন্দে ভারতে চাপতে চাইছেন না যাত্রীরা। ফলে বাধ্য হয়েই ভাড়া কমানোর পথে হাঁটতে চলেছে ভারতীয় রেলকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরোধীদের কটাক্ষ, বন্দে ভারত আসলে মোদীর ‘ভোট ভারত এক্সপ্রেস’।