আগে থেকেই ঠান্ডা লড়াই চলছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং একনাথ শিণ্ডে শিবিরের মধ্যে। এরই মধ্যে জোটে এসে জুটেছেন আরেক ‘পাওয়ার হাউস’ অজিত পাওয়ার। ফলে মহারাষ্ট্রে শাসক জোটে এখন তিন প্রধান মুখ। কিন্তু ৩ শরিকের মধ্যে সবচেয়ে যারা শক্তিশালী সেই বিজেপি জোটের স্বার্থে আত্মত্যাগ করেই চলেছে। অন্যদিকে, এনসিপির অজিত পাওয়ার, যার শক্তি ঠিক কতটা সেটা স্পষ্ট হওয়ার আগেই উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ ৯টি মন্ত্রীপদ পেয়ে গিয়েছেন। আর তা নিয়েই অশান্তি এনডিএতে।
এক বছর আগে একনাথ শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করে যখন বিজেপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরল, তখনই মন্ত্রিত্ব না পেয়ে বহু বিধায়ক অখুশি ছিলেন। তাঁদের আশা ছিল মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে নিজেদের প্রাপ্য তাঁরা পেয়ে যাবেন। এই তালিকায় বিজেপির বিধায়ক যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন শিণ্ডের অনুগামী শিবসেনা বিধায়করাও। কিন্তু এক বছরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়নি, উলটে অজিত পাওয়ার উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আর শিণ্ডে শিবিরের বিধায়করা তাতেই ক্ষুব্ধ।
শিণ্ডের অনুগামী এক বিধায়ক বলছেন, ‘বিরোধীরা আমাদের দলে আসতে চাইলে, তাদের নিতেই হবে। আমরাও শরদ পাওয়ারের বিরোধী। কিন্তু আমাদের নিজেদেরও কিছু আশা আকাঙ্ক্ষা আছে। এবার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার একনাথ শিণ্ডে নেবেন।’ এসবের মধ্যে আবার অজিত পাওয়ারকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে টানাপড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে অজিত দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়ক আছেন। সেটা বেড়ে ৪৫ হতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা মেরেকেটে ৩০। সেক্ষেত্রে আদৌ তিনি এনসিপির প্রতীক দখল করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।