দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ লগ্নের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। এই আবহেই ফের বড়সড় বিপাকে পড়ল গেরুয়াশিবির। বিজেপি বিধায়কের গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত হল বিপুল পরিমাণ দেশি মদ! আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুরুলিয়ায় অভিযান চালানো হয় জেলা পুলিশের তরফে। এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অম্লান কুসুম ঘোষ অভিযান চালান। তাতেই পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গুদাম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মদ। অভিযোগ, নিজের বাড়ি থেকে পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এই মদ পাঠাচ্ছিলেন বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর বিজেপি কাউন্সিলর ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।
এপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নাকা চেকিংয়ের সময় আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ দেশি মদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনও চলছে। এই মদ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগ, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই মদ বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর ভাইয়ের। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশি অভিযানে এই পরিকল্পনা বানচাল করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটেও পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় এভাবে গ্রামে গ্রামে দেশি মদ পাঠিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সেই নির্বাচনে জিতে তিনি বিধায়ক হন। তবে গত পুরসভা নির্বাচনেও তিনি এভাবে মাংস বিলি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। ভাইরাল হয় তাঁর মাংস বিক্রি করার ভিডিও। আর তারপর পুর নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেও তাঁরই বাড়ির গুদাম থেকে উদ্ধার হল দেশি মদ। যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে বিতর্ক। এবিষয়ে মুখ খুলেছেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা বিদায়ী সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। “আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ। মদ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন মানুষজন। ফলে এই গ্রামীণ ভোটে মানুষজন তৃণমূলেই ভোট দেবে”, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।