উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সেরে ফেরার পথে হঠাৎই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটুতে চোট লেগেছিল তাঁর। পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ হাঁটুতে জল জমেছে। তবে হাসপাতালে ছিলেন না তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। চলছিল ফিজিওথেরাপি। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা তাঁর ‘অর্থোস্কোপিক ইন্টারভেনশন’ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর চিকিৎসার পর সন্ধেবেলা হুইলচেয়ারে চড়ে বেরোলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডাঃ শান্তনু সেন। আজ এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকেই ইউসিএম বিল্ডিংয়ে গিয়ে সিটি স্ক্যান করান মমতা। সেই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন, পেন ম্যানেজমেন্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান ডাক্তার রাজেশ প্রামাণিক ও রেডিওলজির প্রধান ডাক্তার অর্চনা সিংয়ের তত্বাবধানে চিকিৎসকদলের অধীনে চিকিৎসা হয়। হাঁটুর যে অংশে জল জমেছে, সেই অংশের চিকিৎসা করে ‘সাইনোভিয়াল ফ্লুইড’ বের করা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, আজ সন্ধেবেলা এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধের পর দেখা যায়, হুইলচেয়ারে বসে হাসপাতাল থেকে বেরোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁ পায়ে প্লাস্টার, গোড়ালিতে ব্যান্ডেজ। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শান্তনু সেন। তাঁকে গাড়িতে তুলে অভিষেকও সেই গাড়িতে ওঠেন। তার আগে অবশ্য মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেন হাসপাতালের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, গত ২৭শে জুন কপ্টার দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ের হাঁটু, লিগামেন্টেও চোট লেগেছে। এদিন তাঁর সার্জিক্যাল প্রসিডিওর হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে থাকার কথা বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরতে চান। মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চলাফেরায় বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে কতদিন এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা হয়নি। ফের তাঁকে চেক আপের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। ডাঃ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্রামে থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।