শিবসেনা, এনসিপির পর মহারাষ্ট্রে বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য কংগ্রেসকে ভাঙানো। গত রবিবার অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহের পর থেকেই এই সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস মহলের খবর, দলের বেশ কিছু বিধায়কের সঙ্গে বহুদিন ধরেই কথা চালাচ্ছে ইডি, সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কিন্তু এখনও রাজি করানো যায়নি কাউকে। তবু বিজেপির ফাঁদ এড়াতে কংগ্রেস হাইকমান্ড আগামী সপ্তাহে শীর্ষ নেতাদের মহারাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে।
এনসিপিতে ভাঙনের পর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কংগ্রেস এখন প্রধান বিরোধী দল। শিবসেনা এবং এনসিপি-তে ভাঙনের পর ভোট শতাংশের হারেও কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার কথা। যদিও দল ঘোষণা করেছে বিরোধী জোটের মুখ থাকবেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরেই।
তবে খাতায় কলমে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, দুই আঞ্চলিক দলে ভাঙনের জেরে বিরোধী শিবিরে কংগ্রেস অনেকদিন পর চালকের আসনে। আর এই কারণেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি দ্রুত হাত শিবিরকে ভাঙার চেষ্টা করবে ধরে নিচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল এনসিপিতে ভাঙন ধরিয়ে অজিত পাওয়ারকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া এবং জোটের শরিক করা নিয়ে শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীর মতো বিজেপির নিচুতলাতেও অসন্তোষের ঝড় বইছে। একান্তে অনেক বিধায়ক ও সাংসদ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলছেন, এভাবে শরিক বাড়িয়ে দলের লাভ কী? তাদের আশঙ্কা, শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগ বাটোয়ারা করতে গিয়ে অনুগামীদের সমর্থন হারাতে হতে পারে।