এনসিপি-র শক্তি পরীক্ষা ঘিরে টান টান উত্তেজনা এখন মুম্বইয়ে। দলীয় প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এখনও দলের অনেক বিধায়ক অনুপস্থিত। অন্যদিকে, বান্দ্রায় বিদ্রোহী অজিত পাওয়ারের অফিসে বেলা ১’টার মধ্যে ১৭জন বিধায়ক হাজির হয়েছেন।
সেখানে প্রথমেই মাইক ধরেছেন এনসিপি-র গোড়াকার নেতা ছগন ভুজবল। মঞ্চের পিছনে টাঙানো ফেস্টুনে শরদ পাওয়ারের বিশাল ছবিটি দেখিয়ে ভুজবল একটু আগে বলেন, দল ভাঙানো যদি আমাদের উদ্দেশ্য হত, তাহলে শরদজির ছবি এখানে রাখতাম না। সন্ধির বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, চলুন আমরা দলের স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করি।
এরই মধ্যে অজিত পাওয়ারকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবিরে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি হয়েছে। একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক বিদ্রোহের সুরে শিন্ডের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, দলকে অন্ধকারে রেখে শিন্ডে বিজেপির চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অজিত পাওয়ারকে মেনে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, একাধিক মন্ত্রী পদ অজিতের শিবিরকে দেওয়া হচ্ছে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে সবচেয়ে সরব শিন্ডের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শম্ভুজরাজে দেশাই। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক তৈরি হয়ে আছি। উদ্ধব ঠাকরে ভাল কোনও প্রস্তাব দিলে আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দেব।’ তাঁর বক্তব্য, ‘মন্ত্রিসভায় নতুন শরিক যোগ দেওয়ার খবরও জানতে পারছি টিভির খবর থেকে। এরচেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কী আছে।’ শোনা যাচ্ছে শম্ভুজরাজের সঙ্গে জনা দশ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।