এবার বিদেশের মাটিতে গান গাইতে গিয়ে অসম্মানিত হতে হল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। আমেরিকায় একটি গানের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিপত্তির সম্মুখীন হন পণ্ডিতজি। অনুষ্ঠানের সময় সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি উপস্থিত হওয়ার পর অভীক দাশগুপ্ত নামে এক উদ্যোক্তারও দেখা মেলেনি। বারবার এই অভীক দাশগুপ্তকে ফোন করলেও পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ফোন ধরেননি সেই আয়োজক। পাশাপাশি, যে হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বর্ষীয়ান গায়ক এবং তাঁর সহ শিল্পীদের জন্য সেখানেও নির্দিষ্ট ঘরের কোনও আয়োজন ছিল না। ঘর পেতে প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় পণ্ডিতজি এবং বাকি শিল্পীদের।
এই গোটা বিষয়টিই জনৈক সন্তোষ নামের এক ব্যক্তিকে জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ অজয় চক্রবর্তী। সম্ভবত, তিনি আয়োজকদের মধ্যেই একজন। নিজেকে অন্যতম সম্মানীয় এক গায়ক হিসেবে বর্ণনা করে অজয় লেখেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলেই শ্রদ্ধা করেন তাঁকে। ফলে তাঁর মতো পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত বর্ষীয়ান একজন গায়কের এই অশ্রদ্ধা পাওনা ছিল না। উল্লেখ্য, পণ্ডিতজির এই চিঠি মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে চিত্র পরিচালক তথা সঙ্গীতশিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘ভারতের সিনিয়র মোস্ট শিল্পীকে যদি এমন চিঠি লিখতে হয় তবে বাংলা গানের কনফারেন্স করে লাভ কী!’ এই ঘটনায় লোপামুদ্রা মিত্র সহ অনেক শিল্পীই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রায় একই রকম দুর্ব্যবহার এবং অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সঙ্গীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তীও।