আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাকলগ্নে ফের গেরুয়াশিবিরের মাথাব্যথা বাড়াল দলীয় অন্তর্কলহ। এবার বাগদার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধরা পড়ল অদ্ভুত চিত্র। নির্দল প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। নিচে লেখা, “বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের ভোটে জয়ী করুন।” কেউ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী দলনেত্রী, কেউ বিদায়ী বিরোধী দলনেত্রী। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব এবার এদের কাউকে প্রার্থী করেনি। ফলস্বরূপ তাঁরা এবার নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। পোস্টারগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বনগাঁর রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ টি আসন ৫২, ৫৩ এবং ৬০ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন রিম্পা ঘোষ, বিশ্বজিৎ বৈরাগী এবং গীতা বিশ্বাস। পঞ্চায়েত সমিতির ৬ নম্বর আসনে নির্দল হয়েছেন ইন্দিরা দাস৷ সকলেই মোদীর ছবিকে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রিম্পা দেবী রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী বিরোধী দলনেত্রী। তিনি বলেন, “তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের প্রার্থী করেছে৷ গভীর চক্রান্ত করা হয়েছে। সেই কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে প্রচার করছি। প্রধানমন্ত্রী সকলের, কারও একার নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা।” বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বিরোধী দলনেত্রী ইন্দিরা দাস বলেন, “এখানে বিজেপি যাতে দুর্বল হয় সেই কারণেই জেলা সভাপতি রামপদ দাস টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের প্রার্থী করেছেন। জনগণের দাবিতে আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি।” ইন্দিরা দেবীর বিপক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সুপ্রিয়া শিকদার। তিনি অবশ্য বলেন, “তৃণমূলের মদতে নির্দল প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ভোটের প্রচারে গিয়ে ওরা তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে কোনও কথা বলছে না। বলছেন, বিজেপি প্রার্থীকে যেন ভোট না দেওয়া হয়। এর থেকে প্রমাণিত হয় ওরা তৃণমূলের দালাল হিসেবে কাজ করছে।” এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। “বিজেপি একটা উশৃঙ্খল দল। টাকার বিনিময়ে এখানে প্রার্থী হওয়া যায়। সেই কারণেই রাজনীতির বাইরের লোকজন টাকা দিয়ে প্রার্থী হয়”, গেরুয়াশিবিরকে একহাত নিয়ে জানিয়েছেন তিনি।