প্রবল বিপাকে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভোটের আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, এর আগে ৪২দিন জেল খেটে এসেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগও। এবার এক তরুণী অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, নওশাদ ৫ বি.বি. গাঙ্গুলী স্ট্রিটের অফিসে ডেকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পুলিশের কাছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি সেই অভিযোগের কপি ওই তরুণী কলকাতা পুলিশের কমিশনার, রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ, নিউটাউনের ডেপুটি সুপারিটেন্ড অফ পুলিশ এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও পাঠান। এরই সঙ্গে সেই লিখিত অভিযোগপত্রটির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমেও। আর সেই ঘটনা রবিবার রাতে সামনে আসতেই রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন নওশাদ। তাঁর দাবি, “এমন কোন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। আমার নামে কোথাও অভিযোগ হয়েছে বলে তাও শুনিনি।” নওশাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরে রাজ্য রাজনৈতিক মহল কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। কংগ্রেস ও তৃণমূলের নেতাদের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। তথ্যপ্রমাণ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যদিকে বামেদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নওশাদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনা যাই হোক না কেন, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত যেমন শুরু করেছে। নওশাদ এবার আরও বড় আইনি সমস্যায় পড়ে গেলেন। ধর্ষণের ঘটনায় তাঁর জামিন মেলা কঠিন। আগামী ৮ই জুলাই, অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন নওশাদ, সূত্র অনুযায়ী ইঙ্গিত মিলেছে এমনটাই।