বিহারে নীতীশ কুমারের দল এবং শাসক জোটে দফায় দফায় চিড় ধরিয়েছে বিজেপি। কিন্তু শত চেষ্টাতেও ভাঙন ধরাতে পারেনি। এবার কি সেই পর্বও আসন্ন?
দলীয় সূত্রের খবর, এমন আশঙ্কা থেকেই জনতা দল ইউনাইটেডের এমপি-এমএলএ-দের ডেকে একান্তে কথা বলা শুরু করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। বিগত তিন দিন যাবৎ তিনি দফায় দফায় বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় বৈঠক করেছেন। প্রত্যেকের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। রবিবার মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার যখন এনসিপি-র বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে শপথ নিতে ব্যস্ত পাটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে নীতীশ কুমার তখন কথা বলছেন এক বিধায়কের সঙ্গে। বৈঠকখানায় অপেক্ষা করছিলেন আরও দুই বিধায়ক ও একজন সাংসদ।
জেডিইউ সূত্রে প্রকাশ্যে দাবি করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই নীতীশের এই উদ্যোগ। দলের জাতীয় সভাপতি লল্লন সিংহের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এলাকার রাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা যে কোনও সময় ভোটের জন্য প্রস্তুত।
যদিও জেডিইউ-র অন্দরের খবর দল অক্ষত রাখা নিয়ে ঘোর চিন্তায় পড়েছেন নীতীশ। বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠকের আগেই জেডিইউ-তে বড় ধরনের ভাঙন অসম্ভব নয়। পাটনায় সফল বৈঠকের সুবাদে নীতীশ বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। তবে বিজেপির অপারেশন পদ্ম অর্থাৎ জেডিইউ-কে ভাঙার চেষ্টা শুধু সেই কারণে নয়। আসলে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ।