কদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা রাজ্যজুড়ে। সরগরম রাজনীতির আবহ। শেষ লগ্নের প্রচারে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারে অংশ নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। ভোটের চারদিন আগে কালীঘাটের বাড়ি থেকে টেলিফোন বার্তায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘‘যুদ্ধের সময় কোনও দ্বন্দ্ব নয়, সকলকে বলছি, একটাই পাখির চোখ-বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের জোটকে হারিয়ে দেওয়া৷ কোনও রকম বিভেদ দেখলে কড়া অ্যাকশন নেব৷’’ প্রসঙ্গত, এদিন বীরভূমের দুবরাজপুরে দলীয় সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা ফিরহাদ হাকিম৷ ফিরহাদের মোবাইলের মাধ্যমে কালীঘাটের বাড়ি থেকে নিজের বক্তব্য পেশ করেন অসুস্থ নেত্রী৷ বলেন, ‘‘যাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে, তাঁদের বলব- আপনাদের বলবার জায়গা আছে৷ আমি নিশ্চয়ই সেটা দেখব৷ তবে এই সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে৷’’ মমতা স্পষ্ট জানান, কোনওরকম বিভেদ বরদাস্ত করা হবে না।
পাশাপাশি, উন্নয়নের প্রশ্নে অতীতে বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলপাহাড়ির আমলাশোলের অনাহারের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বাংলা জুড়ে এখন শিল্প রয়েছে৷ মানুষকে আর অনাহারে মরতে হয় না’’৷ মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখে বড় বড় কথা৷ অথচ সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলেছে৷ গ্যাসের দাম ১২০০ টাকা’’৷ একই সঙ্গে ডিএ ইস্যুতে অতীতের বাম সরকারের প্রসঙ্গ টেনে এনে আন্দোলনকারীদের সমালোচনায় সরব হয়েছেন মমতা। ‘‘ডিএ কম্পালসারি নয়৷ সিপিএম ক্ষমতায় থাকার সময় টানা দু’বছর ডিএ দেয়নি৷ সরকারি কর্মচারীদের সবার টাকা কেটে নিয়েছিল৷ এখন ওরা আবার বড় বড় কথা বলে৷ সিপিএমের আমলে মাইনে হওয়ার কোনও ডেট ছিল না৷ এখন ১ তারিখে আপনারা মাইনে পাচ্ছেন, পেনশন পাচ্ছেন৷ এটা গর্বের বিষয় নয়?’’, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।