উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার সময় আচমকাই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চোট পান তিনি। আপাতত তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলত বীরভূমের দুবরাজপুরের সভায় এদিন ভার্চুয়ালিই অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভুল বুঝবেন না, আমার ৮, ১০ দিন লাগবে। তারপর আমি বেরোতে পারবো। তারপর আমার ছোটখাটো অপারেশন করতে হবে। আমার হাঁটুতে জোর লেগেছে। আমি মানসিক ভাবে আছি।” পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, “বিজেপি কাশ্মীরকে শেষ করেছে। এখন বাংলায় চোখ। আদিবাসী দের লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কামতাপুরির এক নেতা বিজেপি এর এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য আইন করেছি। সেখানে রয়েছে, আদিবাসীদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া যাবে না। ৬০ বছরের পরে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। মণিপুরের পরিস্থিতি দেখুন। এগুলো বিজেপি করাচ্ছে।”
পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী বলেন, “সংখ্যালঘুদের ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে সিপিআইএম কত মানুষ কে মেরেছে। তাদের হাত থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। জঙ্গলমহলে বিজেপি টাকা দিচ্ছে, কার কত কেলেঙ্কারি আছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। কেউ যদি কোনও অন্যায় করে কোর্ট তাঁকে শাস্তি দিক। অথচ কোর্ট এ কিছু প্রমাণ করতে পারছে না। কংগ্রেস দিল্লীতে বলছে একসঙ্গে লড়ব, বাংলাতে বলছে এসো মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুই রকম লাড্ডু তো হয় না।” তিনি বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সহকর্মীদের বলবো কোনো রকম বিভেদ নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও বিভেদ দেখলে আমি কিন্তু অ্যাকশন নেব। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছি। আমার ৭ -৮ দিন সময় লাগবে বাইরে বেরোতে।” এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। “রামপুরহাটে একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমি ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। কৃষকদের বলব ধান বাইরে বিক্রি করে সরকারের কাছে বিক্রি করুন। না হলে দালালরা ঢুকে যাবে। আমরা ৫০ লাখ মেট্রিক ট্রন চাল আমরা কিনি। এতে কৃষকদের হাতে টাকা যাবে। আমরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দিই”, স্পষ্ট জানান মমতা।