১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি ১০ বছর অন্তর দেশে আদমশুমারি হয়। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একবারও জনগণনা হয়নি। এবার যেমন ফের পিছিয়ে গেল তা।
প্রাথমিক ভাবে ২০২৪-‘২৫ বর্ষে দেশের সার্বিক জনগণনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে। প্রশাসনিক সীমানা-সহ একাধিক বিষয়ে পুনর্বিন্যাসের সময়সীমাও বাড়িয়ে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। আর এ থেকেই কার্যত স্পষ্ট যে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে জনগণনার সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র করোনা অতিমারীর জেরে ২০২১ সালে জনগণনা হয়নি। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। তবে এবার তা আরও পিছিয়ে গেল বলেই খবর। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এহেন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক নয়। আদমশুমারির সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকে জুড়ে দেওয়াই মোদী সরকারের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘বিশেষ’ জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাঁদের তালিকাচ্যুত করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই জাতীয় জনগণনা রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।