কদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। সরগরম বাংলার রাজনীতির আবহ। শেষ লগ্নের প্রচারে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এমতাবস্থায় ফের অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। সিঙ্গুরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে আমজনতার ক্ষোভের মুখে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুধু ভোট এলেই কেন দেখা মেলে তাঁর? অন্য সময় কেন এলাকায় আসেন না? প্রশ্ন তুললেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত স্তরে কোনও সুযোগ-সুবিধা পান না বলেই জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রবিবার সিঙ্গুরের আথালিয়া গ্রামে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন লকেট। অভিনেত্রী-সাংসদ আসার খবর ছড়াতেই ভিড় জমে যায়। সেই ভিড় থেকে কেউ অভিযোগ করেন, বার্ধক্য ভাতা পাননি। কেউ জানান, আবাস পাননি। শুরু হয় অভিযোগের পর অভিযোগ। যদিও লকেট সেখানে দাঁড়িয়ে দায়ী করেন শাসকদলকে। কিন্তু ভিড় থেকে সাংসদের উদ্দেশে এক বৃদ্ধ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘ভোটের সময় এসে বললে তো হবে না। আগে থেকে এ সব খোঁজখবর নিতে হয়। শুধু ভোটের সময় বললে হয় না।’’ জবাবে লকেট আবারও বলেন, ‘‘এখন তৃণমূল সরকার চলছে।’’ সাংসদকে বৃদ্ধ পাল্টা বলেন, ‘‘হাজার বার তৃণমূল সরকার চালাক। কিন্তু বিজেপি, সিপিএমের মতো এগুলো দেখার দরকার ছিল। শুধু ভোটের সময় খোঁজ নিয়ে কী হবে?’’
এবিষয়ে সাংসদকে কটাক্ষ করেছেন সিঙ্গুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া। ‘‘লোকসভা ভোটের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উনি (লকেট)। কিন্তু দু-একটা আলো লাগানো ছাড়া কোনও কাজ করেননি। কেউ বলতে পারবেন না যে, তৃণমূল এখানে কাজ করেনি। এলাকারও যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আর আবাস না পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। বার্ধক্য ভাতা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। তারা আমাদের প্রাপ্য টাকা দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব তহবিল থেকে সেই টাকা দেবেন বলে ঠিক করেছেন’’, স্পষ্ট জানিয়েছেন গোবিন্দবাবু।