অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউসিসি নিয়ে আপত্তি উঠেছে বিজেপির শরিক দলগুলির থেকে। এমনকী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিজেপির বহু নেতাও মনে করছেন, ইউসিসি দলের বিপদের কারণ হবে দেশের ওই প্রান্তে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রধান কোনরাড সাংমার সাফ কথা ইউসিসি-কে সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। এই বিধি ভারতের ঐক্য সংহতির পরিপন্থী। তাঁর কথায়, বৈচিত্রই ভারতের ঐক্য।
প্রসঙ্গত মেঘালয়ে বিজেপি সাংমার সরকারের শরিক। চার মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনে দুই দল পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও সরকার গড়েছে এক সঙ্গে। এমনকী সাংমার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
সাংমা শুধু মেঘালয় নয়, গোটা উত্তরপূর্বের হয়েই ইউসিসির বিরুদ্ধে ব্যাট ধরেছেন। তিনি বলেন, উত্তরপূর্বের মানুষের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করে ইউসিসি হলে এক কথা। সেগুলি গুরুত্ব না পেলে আমরা বিরোধিতা করব।
নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামেও বিজেপি ইউসিসি নিয়ে বিরোধের মুখে পড়েছে। নাগাল্যান্ডের দ্য ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টও আপত্তি তুলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে। এই দুই দল অনেক দিন ধরে এনডিএ-র শরিক। আপত্তি আছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের। সমতলের দলগুলির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের আজসুও আপত্তি তুলেছে।
পাঞ্জাবে অকালি দল কৃষি আইনের ইস্যুতে দু’ বছর আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে গেলেও ফের দুই দলের ভাব-ভালোবাসা বেড়েছে। কিন্তু অকালি দলও জানিয়ে দিয়েছে তারা ইউসিসি সমর্থন করবে না। বিজেপির বন্ধুস্থানীয় দল অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির পার্টির ওয়াইএসআর কংগ্রেসও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিলের বিরোধী। তারাও সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে।