কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। গত ৩ মে থেকে নতুন করে অশান্তি দানা বেঁধেছে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে। আমজনতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কারোরই নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। হাজার হাজার সেনা আধাসেনা নামিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না হিংসায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বিদায় আসন্ন বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছে আগেই। কিন্তু শুক্রবার ‘নাটক সাজিয়ে’ বীরেন শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ না করলেও তাঁকে দ্রুত সরে যেতে বলা হবে।
তবে মণিপুরে কেন্দ্র এখনই বিকল্প সরকার গড়ার পক্ষপাতী নয়। কারণ জাতিদাঙ্গা শুরুর পর বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলেও পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরেনি। কিন্তু বীরেনের উত্তরসূরি বাছাই করাও কঠিন হয়ে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। বীরেন বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। বিধায়ক দলেও মেইতেইরাই সিংহভাগ। এই অবস্থায় মেইতেই সম্প্রদায় থেকে কাউকে বীরেনের উত্তরাধিকারী বাছাই করা ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, কুকি বিধায়কদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করাও সমান সমস্যার।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিই একমাত্র পথ। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই পথ এড়াতে চাইছিলেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি আসলে দলীয় সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। যে কারণে সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে আইন-শৃঙ্খলার ভার কেন্দ্র নিজের হাতে নিতে চেয়েও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি শেষ পর্যন্ত। তবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি ক্রমশ রাজ্য প্রশাসনের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।