পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের দেড় মাসের মাথায় দিল্লি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে তৃণমূলের সভায় অভিষেক বলেন, বাংলার দশ লাখ মানুষ গিয়ে দিল্লির কৃষি ভবন ঘেরাও করবে। রাজ্যের বকেয়া আদায় না করে ফিরব না। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসে থাকব।
তবে ওই সভাতে অভিষেকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমম্ত বিশ্বশর্মাকে নিয়ে। শুক্রবারই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করে। দলের নির্দেশ মতো সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতার দফতরে হাজির হন সায়নী।
বারাবনির সভায় অভিষেক বলেন, ‘যাদের ক্যামেরার দেখা গিয়েছে টাকা নিতে, তাঁরাই এখন বিজেপির পদস্থ নেতা। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন জেল থেকে চিঠিতে হিমন্ত ও শুভেন্দুর কথা লিখেছেন।’ অভিষেকের প্রশ্ন, এরপরও প্রধানমন্ত্রী নিজেকে গ্যারান্টার বলছেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভোপালের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের ভ্রষ্টাচারী বলে গালমন্দ করে নিজেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্যারান্টার বলে দাবি করেছেন। শুক্রবার দুপুরে রাজস্থানের উদয়পুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে আবার অভিষেকের নাম শোনা গিয়েছে। শাহ বলেন, সনিয়া গান্ধীর স্বপ্ন রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান অভিষেককে নেতা বানাতে। এঁরা সকলেই পরিবারবাদী। গোটা বিরোধী শিবির দুর্নীতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ করেন শাহ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুক্রবার বিকালে বারাবনির সভায় অভিষেক নাম না করলেও শাহের অভিযোগেরও জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু, হিমন্তদের নাম করে।