শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। জুলাইয়েই বাংলাজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চলছে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই একাধিক রাজনৈতিক মামলা জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। এই প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। এবার ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। “মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে”, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন খেজুরির সোমনাথ প্রামাণিক সহ ৬১ জন। তাঁদের অভিযোগ ছিল,বারে বারে থানায় ডেকে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে তাঁদের তলব করা থেকে পুলিশকে বিরত করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার এই রক্ষা কবচের মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট বিচারপতি। যদিও আবেদনকারীদের রক্ষাকবচের মেয়াদ ১৫ই জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিচারপতির ক্ষোভের কথা গোপন রাখেনি আদালত।
উল্লেখ্যর এদিন বিচারপতি বলেন, “আদালতকে নিয়ে খেলছেন আপনার মক্কেল। এ যেন বেহেতি গঙ্গা মে হাত ধোনা, যে পারছে সেই পুলিশের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে যাচ্ছে। কিছু ঘটনা যে ঘটে না তা নয়। কিন্তু, এখন যে কোনও গন্ডোগোলই ভোটের হিংসা হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আদালতকে মিথ্যে বলে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মামলাকারীকে বিশ্বাস না করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে আদালতের। কারণ এটা একটা ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। মিথ্যে তথ্য দিয়ে কিছু লোক মামলা করে বিভ্রান্ত করছে।” রাজ্যের অভিযোগ, খেজুরির মামলাকারী ১৯শে জুন বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান। কিন্তু, উলটো দিকে থানায় হাজির হননি। “দিনের পর দিন এমন মামলাকারীদের জন্য আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে। আর আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। কিন্তু পুলিশ তো সারা বছর থাকবে। তাদের সঙ্গে ঘর করতে হবে। কোর্টকে কতদিন মিথ্যা বলে ব্যবহার করবেন!”, স্পষ্ট জানান বিচারপতি।