২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরির নীল নকশা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতিই পাটনায় বৈঠকে বসেছিল তারা। আর বিরোধী জোটের এই প্রস্তুতি কি ক্রমশ মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে মোদী সরকারের? উঠছে তেমনই প্রশ্ন। বুধবার মধ্যরাতে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত পারিষদবর্গ। যা নিয়ে দিল্লীর দরবারে নানান কথা ঘুরছে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি দলে ও সরকারে রদবদল আসন্ন। লোকসভা ভোটের চাপ চেপে বসছে মোদী তথা বিজেপির ঘাড়ে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে মরিয়া বিজেপি। উপায় খুঁজতে আপাতত, দল ও মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হতে পারে। সে কারণেই বুধবারের বৈঠক। জানা যাচ্ছে, বুধবার গভীর রাতে দিল্লিতে নিজের সরকারি বাসভবনে বৈঠক ডাকেন মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষসহ কয়েকজন শীর্ষ পদাধিকারীরা।
জানা গিয়েছে, বিজেপির সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও রদবদল আসন্ন। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিরোধী মহাজোটের কারণে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। তার মোকাবিলায় রণকৌশল ঠিক করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে বিজেপি কোনও মন্তব্য করেনি। আগামী ৩রা জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন মোদী। জল্পনা চলছে, সেখানেই মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শোনা যাচ্ছে, বাংলার এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদ হারাতে পারেন। মন্ত্রিসভার রদবদলের পরেই, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদে চার থেকে পাঁচজন নতুন মুখ আনা হতে পারে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের সভাপতি পরিবর্তন করতে পারেন নাড্ডা, এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। বাংলাতেও বিজেপি সংগঠনের রদবদল হতে পারে, সূত্র অনুযায়ী খবর এমনটাই।