দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেবার কাজ। জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। জেলায় জেলায় চলছে কর্মসূচি। আজ, শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে সভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘বাংলার ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনবই। প্রয়োজনে দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসব। ১০ লক্ষ লোক নিয়ে আমি দিল্লিতে যাব। দেখব, বিজেপি সরকারের কত দম আছে যে বাংলার টাকা আটকে রাখে।’’ উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ বাংলার পাওনা একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখার কথা বলেছিলেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে সেই ইস্যুতে এ বার হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী না কি সব কিছুর গ্যারান্টার! কোনও দুর্নীতি হতে দেবেন না, তিনি গ্যারান্টি দিয়েছেন।’’
এর পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চোর জিতেন তিওয়ারি। সব ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। কী করেনি? সে এখন বিজেপির নেতা।’’ এর পর শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘এক জন ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিয়েছে। বিজেপি তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করেছে। এই তো অবস্থা! যত চোর-ডাকাত, সব বিজেপিতে। এঁদের গ্যারান্টি নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।’’ রোড-শো থেকে অভিষেকের কটাক্ষ, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে আট দফায় ভোট করেও হেরেছে পদ্মশিবির। এবার আট দফার ভোটের জবাব দিতে হবে আগামী ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটে। ‘‘যারা বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে, তাদের কাছে মাথানত করব না। যদি মাথা নিচু করতেই তবে মানুষের কাছে করব’’, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল সাংসদের।