চলছে ক্রমাগত বর্ষণ। যার জেরে বিপর্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত। অতি বৃষ্টিতে দেওয়াল ধসে কোথাও একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছে চারটি শিশু। আবার কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন দু’জন। গত দু’দিন ধরে একটানা ভারী বৃষ্টি মোট ন’জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই রাজ্যে। জলময় জুনাগড়, সুরাত এবং তাপী জেলা-সহ একাধিক এলাকা। বৃষ্টি থেকে আপাতত রেহাই নেই গুজরাতবাসীর। শনি, রবি এবং সোমবারও রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত ৩০ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত রাজ্য জুড়েই কোথাও ভারী, কোথাও বা মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিস। গত দু’দিনের জুনাগড়, মোরবি, সুরাত, জামনগর, কচ্ছ এবং তাপী জেলায় ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত হয়েছে জনজীবন। শুক্রবার সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলগুলি।
এপ্রসঙ্গে গুজরাতের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার (এসইওসি) জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যের ৩৭টি তালুকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে তাপী জেলার ব্যারা তালুকে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ২৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে এসইওসি সূত্রে খবর। এ ছাড়া, বৃষ্টিতে ভেসেছে জুনাগড় শহর (২৯৮ মিলিমিটার), তাপী জেলার বালোদ (২৮৮ মিলিমিটার), দোলবান (২০৬ মিলিমিটার), জামনগর (২৩৬ মিলিমিটার), সুরাতের মহুবা (২৫৬ মিলিমিটার), বরদোলি (২২৩ মিলিমিটার) এবং জামনগর (২৩৬ মিলিমিটার)-এর একাধিক এলাকা। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৫টি তালুকে ৪০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ওই কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জামনগর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে পাঁচমহল, আনন্দ-সহ একাধিক জেলা। বৃষ্টিতে দেওয়াল ধসে বৃহস্পতিবার পাঁচমহলে একসঙ্গে চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, প্রবল জলের তোড়ে জামনগর এবং অরবলি জেলায় দু’জন ও অমরেলিতে এক মহিলা ভেসে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী দু’দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মৌসম ভবন জানিয়েছে, গান্ধীনগর, খেড়া, আমদাবাদ, আনন্দ, বরোদা, ভারুচ, সুরাত, নবসারি এবং বলসাদ জেলায় শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে, শনি এবং রবিবার রাজ্যের নানা প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা।